নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ
সুন্দরবন বেষ্টিত কপোতাক্ষ, শাকবাড়ীয়া ও কয়রা এই ৩ নদ-নদীর ১৫৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে ঘেরা খুলনার কয়রা উপজেলা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নিয়ন্ত্রণাধীন ঐ বেড়িবাঁধ কেটে কিংবা ছিদ্র করে নদীর লোনাপানি ঢুকিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক হাজার অপরিকল্পিত চিংড়িঘের। এতে দূর্বল হচ্ছে বেড়ীবাঁধ। প্রতিবছর প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। মানুষের বসতভিটা হারানোর পাশাপাশি লোনাপানির বিরূপ প্রভাবে উজাড় হচ্ছে বনজ ও ফলদ সম্পদ, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য, ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।
১২ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ১৩-১৪/২ পোল্ডারে হোগলা বাজার থেকে দশহালিয়া এলাকা অভিমূখে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিশেষ অভিযানে বেড়িবাঁধ থেকে লবণ পানি উত্তোলনের অবৈধ ১১ টি পাইপ অপসারণ করা হয়েছে। অবৈধ এ পাইপ অপসারণ অভিযান চলাকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রশাসনের প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিজেদের সুবিধার জন্য বেড়িবাঁধ কেটে বা ফুটো করে পাইপ বসিয়ে অবৈধভাবে নদীর লবন পানি তুলে অপরিকল্পিত ভাবে চিংড়ি ঘেরে প্রবাহিত করছিল, যা বেড়িবাঁধের স্থায়িত্ব ও পরিবেশের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পাউবোর উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সুলাইমান হোসেন বলেন, বাঁধ কেটে পাইপ বসিয়ে লবন পানি উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। এটি শুধু বেড়িবাঁধের জন্য ক্ষতি নয়, হাজারো মানুষের জীবনের জন্য হুমকি। এসব বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপের কারণে বাঁধ দূর্বল হয়ে পড়ছে এবং ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে। আমরা ঘের মালিকদের একাধিকবার সতর্ক করেছি তারা কর্নপাত করেনি। অবৈধ লবণ পানি উত্তোলনকারীর তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাঁধের নিরাপত্তা রক্ষায় আরও কঠোর নজরদারি ও নিয়মিত এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কয়রা, খুলনা প্রতিনিধি
তারিখঃ ১২/০৮)২৫ ইং।
Leave a Reply